aam atir vepu book by Bivutivushon Bondopadhai pdf download from Movitai.
আম আঁটির ভেঁপু উপন্যাস Pdf download
বইঃ | আম আঁটির ভেঁপু |
লেখকঃ | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
প্রকাশনীঃ | বিভাস |
ফরম্যাটঃ | পিডিএফ ফাইল |
ক্যাটাগরিঃ | শিশু-কিশোর উপন্যাস বই PDF |
Link: কপালকুণ্ডলা উপন্যাস PDF
আম আঁটির ভেঁপু -বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় pdf download
বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের এক যুগান্তকারী সৃষ্টি হলো পথের পাচালী যার দ্বিতীয় খন্ড হচ্ছে আটির ভেপু | পল্লী প্রকৃিতির এক অনাবিল পরিবেশে দুই ভাইবোনের এক অকৃত্তিম ভালোবাসার সম্পর্ক বইটিতে এক অন্য রকমীবনীশক্তির সঞ্চার করে । অপু ও দুর্গার মা সর্বজয়া যেন পল্লিমায়ের শাশ্বত চরিত্রের প্রতিনিধি৷গ্রামীণ পরিবেশের মাঝে এক সাধারণ পরিবারের দৈনন্দিন শত অভাবের মাঝেও প্রকৃত সুখকে খুঁজে পাওয়ার এক অনাবিল আনন্দ বইটিতে ফুটে উঠেছে |
সকালবেলা । আটটা কি নয়টা । হরিহরের পুত্র আপনমনে রোয়াকে বসিয়া খেলা করিতেছে । এমন সময় তাহার দিদি দুর্গা উঠানের কাঁঠালতলা হইতে ডাকিল — অপু ও – অপু সে এতক্ষণ বাড়ি ছিল না , কোথা হইতে এইমাত্র আসিল । তাহার স্বর একটু সতর্কতামিশ্রিত । দুর্গার বয়স দশ – এগারো বৎসর হইল । গড়ন পাতলা – পাতলা , রঙ অপুর মতো এতটা ফরসা নয় , একটু চাপা । হাতে কাচের চুড়ি , পরনে ময়লা কাপড় , মাথার চুল রুক্ষ – বাতাসে উড়িতেছে , মুখের গড়ন মন্দ নয় , অপুর মতো চোখগুলি বেশ ডাগর – ডাগর ।
Link: তিতাস একটি নদীর নাম PDF
আম আঁটির ভেঁপু সম্পূর্ণ গল্প pdf download
অপু রোয়াক হইতে নামিয়া কাছে গেল , বলিল — কি রে ? দুর্গার হাতে একটা নারিকেলের মালা । সেটা সে নিচু করিয়া দেখাইল , কতকগুলি কচি আম কাটা । সুর নিচু করিয়া বলিল — মা ঘাট থেকে আসেনি তো ? অপু ঘাড় নাড়িয়া বলিল — উহু দুৰ্গা চুপি চুপি বলিল — একটু তেল আর একটু নুন নিয়ে আসতে পারস ? আমের কুশি জারাব— অপু আহ্লাদের সহিত বলিয়া উঠিল — কোথা পেলি রে দিদি ? দুর্গা বলিল — পটলিদের বাগানে সিঁদুরকোটার তলায় পড়েছিল — আন্ দিকি একটু নুন আর তেল ! অপু দিদির দিকে চাহিয়া বলিল— তেলের ভাঁড় ছুঁলে মা মারবে যে !
আমার কাপড় যে বাসি ! —তুই যা না শিগগির করে , আসতে এখন ঢের দেরি — ক্ষার কাঁচতে গিয়েচে — শিগগির যা । অপু বলিল — নারকোলের মালাটা আমায় দে । — তুই তো একটা হাবা ছেলে অপু বাড়ির মধ্য হইতে বাহির হইয়া আসিলে দুর্গা তাহার হাত হইতে মালা লইয়া আমগুলি বেশ করিয়া মাখিল , বলিল — নে হাত পাত্ । -তুই অতগুলো খাবি দিদি ? — -অতগুলো বুঝি হল ? এই তো ভারি বেশি — যা , আচ্ছা নে আর দুখানা — বাহ , দেখতে বেশ হয়েছে রে — একটা লঙ্কা আনতে পারিস ? আর একখানা দেব তাহলে — লঙ্কা কী করে পাড়ব দিদি । মা যে তক্তার ওপর রেখে দ্যায় — আমি যে নাগাল পাইনে !